শাস্ত্রে কোথায় আছে তুলসীর মালা ধারণ করতে হবে এবং ধারণ না করলে কি হবে❓

🌹✅ শাস্ত্রে কোথায় আছে তুলসীর মালা ধারণ করতে হবে এবং ধারণ না করলে কি হবে❓
✅ #ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, প্রকৃতিখন্ড,(২১/৪৭).......
তুলসীকাষ্ঠনির্মাণমালাং গৃহ্ণাতি যো নরঃ।
পদে পদেহশ্বমেধস্য লভতে নিশ্চিতং ফলম্।।
অনুবাদঃ" যে নর তুলসীকাষ্ঠ নির্মিত মালা ধারণ করবেন, নিশ্চয়ই তাঁর পদে পদে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল হবে।"
স্কন্দ পুরাণ, বিষ্ণুখন্ড, মার্গশীর্ষমাসমাহাত্ম্য,(৪/৭,৮,৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫)............
"ভগবান বললেন, যে মানব তুলসীকাষ্ঠ সম্ভূত মাল্য ধারণ করেন, আমি প্রত্যহ তাকে দ্বারকাবাসের ফল প্রদান করি। যে নর ভক্তিসহকারে আমার উদ্দেশে তুলসীকাষ্ঠ সম্ভূত মাল্য প্রদান করে ভক্তিপূর্বক তা গ্রহন করেন, তাঁর কোন পাতক নেই, তার প্রতি আমি অত্যন্ত প্রীত এবং তিনি আমার প্রান সদৃশ। যিনি তুলসীকাষ্ঠ সম্ভূত মাল্যে ভূষিত হয়ে পিতৃ ও দেবগণের পূজা প্রভৃতি পুণ্য কার্য করেন, তার কোটি গুণ পুণ্য হয়ে থাকে।
তুলসীকাষ্ঠমালাং তু প্রেতরাজস্য দূতকাঃ।
দৃষ্টা নশ্যতি দূরেণ বাতোদ্ধূতং যথা দলং।।১২।।
তুলসীকাষ্ঠমালাভির্ভূষিতো ভ্রমতে ভুবি।
দুঃস্বপ্নং দুর্নিমিত্তঞ্চ ন ভয়ং শত্রুবৎ ক্বচিৎ।।১৪।।
অনুবাদঃ " যমদূত গণ তুলসীকাষ্ঠ সম্ভূত মাল্য দর্শন করে বায়ুচলিত পত্রের ন্যায় দূর হতে পলায়ন করে। যিনি তুলসীকাষ্ঠ মাল্যে ভূষিত হয়ে বসুধা বিচরণ করেন, কখনো তাঁর দুঃস্বপ্ন, দুর্নিমিত্ত বা শত্রুজনিত ভয় থাকে না।"
ধারয়ন্তি ন যে মালাং হৈতুকাঃ পাপবুদ্ধয়ঃ।
নরকান্ন নিবর্তন্তে দগ্ধা কোপাগ্নিনা মম।।১৫।।
অনুবাদঃ " যেসকল হেতুবাদী পাপবুদ্ধি লোক তুলসীমালা ধারণ করে না, আমার কোপাগ্নি দ্বারা দগ্ধ হয়ে তারা কখনো নরক হতে প্রতিনিবৃত্ত হয় না। অতএব তুলসীমাল্য ধারণ করবে।"
#পদ্ম পুরাণ, স্বর্গখন্ড,(৪৭/৪৫,৪৮,৪৯,৫২,৫৩).......
তুলসীকাষ্ঠমালাস্তু কন্ঠস্থাং বহতে তু যঃ।
অপ্যশৌচহপ্যনাচারো ভক্ত্যা যাতি হরের্গৃহম্।।
অনুবাদঃ " যে তুলসীকাষ্ঠ মালা কন্ঠস্থ করে বহন করে, সে অশৌচ বা অনাচার হলেও হরির গৃহে (বৈকুন্ঠে) যায়।"
যঃ পুনস্তুলসীমালাং কন্ঠে কৃত্বা জনার্দনম্।
পূজয়েৎ পুণ্যমাপ্নোতি প্রতিপুষ্পং গবাযুতম্।।৪৮।।
ধারয়ন্তি ন যে মালাং হৈতুকাঃ পাপবুদ্ধয়ঃ।
নরকান্ন নিবর্তন্তে দগ্ধা কোপগ্নিনা হরেঃ।।৪৯।।
অনুবাদঃ "যে মানব তুলসীমালা কন্ঠে করে জনার্দনের পূজা করে সে প্রতি পুষ্পে গবাযুতের (অযুত গোদানের) পুণ্য প্রাপ্ত হয়। যেসকল পাপবুদ্ধি ব্যক্তি নানা কারণ দর্শিয়ে তুলসীমালা ধারণ করে না, তারা হরির কোপাগ্নিতে দগ্ধ হয়ে নরক হতে প্রত্যাবৃত হতে পারে না।"
নিবেদ্য কেশবে মালাং তুলসীকাষ্ঠসম্ভবাম্।
বহতে যো নরো ভক্ত্যা তস্য বৈ নাস্তি পাতকম্।৫২।।
তুলসীকাষ্ঠমালাস্তু প্রেতরাজস্য দূতকাঃ।
দৃষ্টা নশ্যতি দূরেণ বাতোদ্ধুতং যথা দলম্।।৫৩।।
অনুবাদঃ" যে নর তুলসীকাষ্ঠনির্মিত মালা ভগবান কেশবকে নিবেদন করে পরিধান করে, তার পাতক নাই। প্রেতরাজের দূতগণ তুলসীকাষ্ঠসম্ভূত মাল্য দর্শন করে বায়ুচলিত শুষ্ক পত্রের ন্যায় দূরে অন্তর্হিত হয়।"
#গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে,.......... " যে ব্যক্তি তুলসীকাষ্ঠ ময়ী মালা শ্রীহরির চরণে নিবেদন পূর্বক ভক্তিসহকারে কন্ঠে ধারণ করেন, তাঁর কোন পাপ বিদ্যমান থাকে না। শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রতি নিরন্তর সন্তুষ্ট থাকেন।"
#গরুড় পুরাণ........
ধারয়ন্তি ন যে মালাং হৈতুকাঃ পাপবুদ্ধয়ঃ।
নরকান্ন নিবর্তন্তে দগ্ধা কোপাগ্নিনা হরেঃ।।
অনুবাদঃ " যে তার্তিক পাপবুদ্ধি ব্যক্তিরা তুলসী মালা ধারন করে না, ভগবান শ্রীহরি তাদের প্রতি অত্যন্ত অপ্রসন্ন হন এবং তারা অনন্ত কাল নরক ভোগ করে।"
#স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে,...... " যিনি তুলসীকাষ্ঠের বিরচিত মালা শ্রীহরিকে অর্পণ পূর্বক পরে নিজে ধারণ করেন, তিনি শ্রেষ্ঠ ভগবৎ ভক্ত।"
#স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে,....... " যে মূর্খ তুলসীকাষ্ঠময়ী মালা শ্রীহরিকে অর্পণ না কর ধারণ করে সে নিঃসন্দেহে নরকে পতিত হয়।"
#স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে,........ " তুলসী মালা গ্রথিত করে পঞ্চগব্য দ্বারা ধৌত করে তদুপরি মূলমন্ত্র জপ করে অষ্টধা গায়ত্রী জপ কর্তব্য,পরে ধূম স্পর্শ করে সদ্যোজাত মন্ত্র দ্বারা ভক্তিপূর্বক অর্চনা করা কর্তব্য। "
#স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে,..... " যে বৈষ্ণব যথা বিধি প্রার্থনা করে প্রথমত শ্রীকৃষ্ণের গলায় মালা তৎপরে স্বয়ং ধারণ করেন তিনি ভগবৎ ধামে গমন করেন।"
#গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে,....... " যে সকল হেতুবাদ পরায়ণ পাপমতি মানব তুলসীমালা ধারণ না করে তারা শ্রীহরির কোপানলে দগ্ধীভূত হয় এবং নরক থেকে তারা মুক্তি লাভ করে না।"
#হরিভক্তিবিলাশ ধৃত, অগস্ত সংহিতায় বলা হয়েছে,..... " যিনি ভগবৎ অর্পিত তুলসী মালা ধারণ পূর্বক ভগবানের পূজা এবং অন্য যে সমস্ত ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করেন তৎসমস্তই অক্ষয় ফলপ্রদ হয়।"
#হরিভক্তিবিলাশ ধৃত, বিষ্ণুধর্মোত্তরে বলা হয়েছে,...... " যিনি ভগবৎ অর্পিত তুলসী মালা ধারণ করেন, দেবকী নন্দন কৃষ্ণ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, তাকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় না এবং তার কোন পাতক থাকে না।"
#বৃহন্নারদীয় পুরাণ, (১৩/৬৫)......." যে ব্যক্তি সতত কর্নে তুলসীপত্র এবং কন্ঠদেশে তুলসী কাষ্ঠের মালা ধারণ করে তার কোনরূপ উপ পাতক থাকে না।"
#শ্রীমদ্ভাগবতেও বলা হয়েছে,...... " তুলসী মালা পরিহিত ব্যক্তির প্রতি হরিভক্ত জ্ঞানে যমদূতেরা প্রনতী নিবেদন করে থাকেন।"
#পদ্ম পুরাণে বলা হয়েছে,........ " যিনি কন্ঠে তুলসীমালা ধারন করেন,.....তিনিই এই জগতে বিষ্ণুভক্ত অর্থাৎ বৈষ্ণব। এই বৈষ্ণব দের উপস্থিতির ফলে জগৎ পবিত্র হয়। তিনি যেখানে অবস্থান করেন, সেই স্থান বৈকুন্ঠে পরিণত হয়।"
#স্কন্দ পুরাণে বলা হয়েছে,..... " যাঁর কন্ঠে ও বক্ষঃস্থলে তুলসীমালা থাকে, সেই বৈষ্ণবদের কাছে যমদূত আসতে পারে না।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ