রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?

 

 
রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ?

রাজা পুরঞ্জনের কেন পরবর্তী জন্মে নারী হয়ে জন্ম হয়েছিল ? 
 
এক সময় রাজা প্রাচীনবর্হি রাজসভায় দেবর্ষি নারদ উপস্থিত হলে, রাজা তাঁকে পাদ্য-অর্ঘ্যে পূজা করে সমাদরে সিংহাসনে বসালেন। তারপর নারদ ঠাকুর বললেন-হে রাজন, সকাম কর্মের দ্বারা দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্ত হওয়া কিংবা সুখলাভ করা কখনই সম্ভব নয় তথাপি আপনি করছেন। আপনি যজ্ঞস্থলে যে সমস্ত পশুদের নির্মমভাবে বলি দিয়েছেন, গগনমার্গে সেই সব পশুদেরকে আপনি দেখুন। আমি আপনাকে যােগবলে তা দেখাচ্ছি। আপনি যে তাদের পীড়ন করছেন, তাই এই সব পশুরা আপনার মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছে। আপনার মৃত্যুর পর তারা ক্রোধান্বিত হয়ে লৌহময় শৃঙ্গের দ্বারা আপনার দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করবে।
হে রাজন্, এই সম্পর্কে আমি আপনাকে পুরঞ্জন নামক এক রাজার কাহিনী শুনাব। তার ছিল অন্তহীন সুখের বাসনা। কিছুতেই তার বাসনার তৃপ্তি হয় না। বসবাসের জন্য সুন্দর স্থান, সুন্দর সুন্দর আসবাবপত্র, মুখরােচক আহাৰ্য্য, কোন কিছুতেই যেন তার তৃপ্তি নাই। চাই আরও উন্নত ব্যবস্থা। তাই তিনি সেসব অন্বেষণের জন্য সারা পৃথিবী ভ্রমণ করতে লাগলেন। তারপর শেষে হিমালয়ের দক্ষিণে ভারতবর্ষ নামে এই স্থানে এসে উপনীত হলেন। সেখানে নয়দ্বারযুক্ত একটি সুরম্য নগরী দেখতে পেলেন। সেই পুরীর পার্শ্বে অপরূপ একটি উদ্যান, আর তারই পাশে একটি বিশাল সরােবর। এতদিন পরে এমন প্রাসাদ, বাগান আর সরােবর দেখে মনটা তার ভরে গেল মনের আনন্দে ঘুরতে লাগলেন সেখানে। এমন সময় এক অপরূপা সুন্দরী নারী দশজন রক্ষীর দ্বারা আর একটি পঞ্চশির বিশিষ্ট সর্পের দ্বারা বেষ্টিত হয়ে সেই উদ্যানে প্রবেশ করলেন। রাজা পুরঞ্জন ইতিপূর্বে বহু নারীর রূপ দেখেছেন অনেকের সঙ্গে যৌন-লালসা পরিতৃপ্তি করছেন। কিন্তু এই নারী যেন সবার উর্ধে, দেখা মাত্রই রাজা কাম-শরে জর্জরিত হলেন। থাকত পারলেন না স্থির হয়ে উঠে গেলেন। আর সেই নারীর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন তার পরিচয়। তাকে নিজের পরিচয়ও দিয়েছিলেন।
নারদমুনি বললেন-হে রাজন, পুরঞ্জন রাজার সেই কথা শুনে সেই অপরূপা নারী তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মুচকি মুচকি হেসে বললেন-হে পুরুষশ্রেষ্ঠ, আমার সৃষ্টিকর্তা কিংবা আমার জননী কে, তা আমি জানি না। আমার সঙ্গে যে দশজন রক্ষীকে দেখতে পাচেছন, এদের প্রত্যেকের একশ জন করে ভাৰ্য্যা আছে। আমি কিন্তু কারও পরিচয় জানি না। আর এই পাঁচ মাথাওয়ালা যে সাপ দেখছেন, এই সবসময় পুরীকে রক্ষা করছে। এমন কি আমি যখন ঘুমিয়ে পড়ি তখন এই সাপটি পাহাড়ার জন্য জেগে থাকে। অর্থাৎ এই সাপ কখনও ঘুমায় না। হে প্রভু, আপনার তৃপ্তি সাধনের জন্য আমি সদাই প্রস্তুত আছি। আপনার মত পতিলাভে আমার মত রমণীর পরম সৌভাগ্য বলে মনে করব।
তারপর দেবর্ষি নারদ বললেন-হে রাজ, সেই পুরুষ এবং নারী পরস্পর পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সেই সুন্দর নগরীতে প্রবেশ করে এ শত বৎসর আনন্দ উপভােগ করলেন। রাজা সব সময় রাণীর মনােরঞ্জনের জন্য চেষ্টা করছেন। এইভাবে রাজা পুরঞ্জন তার সুন্দরী স্ত্রীর দ্বারা প্রতারিত হলেন। যদিও রাজা পুরঞ্জনের পক্ষে এক পলকও তার মহিষীর সঙ্গ ত্যাগ করা অসম্ভব ছিল, তথাপিও তিনি মুগয়ার বাসনায় ধনুর্বাণ নিয়ে বনে গমন করেন। সেখানে বহু পশুকে নির্বিচারে হত্যা করে, ফিরে এলেন প্রাসাদে। খাবার খেতে বসে চব্য, চুয্য, লেহ্য, পেয়—নানা উপাদেয় মুখরােচক খাবারও খেলেন তিনি। তারপর তিনি পত্নীর খোঁজ করলেন। প্রাসাদের বহু কক্ষ খোঁজ করার পর তিনি দেখলেন যে, এক নির্জন কক্ষে বিনা শয্যায় ভূমিতে শায়িত আছে। দেখা মাত্রই পুরন অতি ব্যাকুল হয়ে দুঃখিত মনে তার পত্নীকে মধুর বচনে সান্ত্বনা দিলেন। প্রথমে তিনি স্ত্রীর দুই পা ধরে, তারপর তাকে নিজের কোলে তুলে, গভীর আবেগে আলিঙ্গন করে, মধুরবাক্যে সান্ত্বনা করবার চেষ্টা করলেন।
হে মহিষী, আমার পাপপূর্ণ বাসনার ফলে আমি তােমার অনুমতি না নিয়েই বনে শিকার করতে চলে গেলাম। তাতে তােমার কাছে আমার বহু অপরাধ হয়েছে। তথাপিও তুমি আমাকে তােমার সর্বাপেক্ষা অন্তরঙ্গ ভৃত্য মনে করে, আমার দোষ ক্ষমা কর, আমার প্রতি প্রসন্ন হও। বাস্তবিক পক্ষে আমি অত্যন্ত দুঃখী, কিন্তু কামদেবের বাণের আঘাতে বড়ই ব্যথিত হয়েছি। এখন তুমি আমাকে সঙ্গ দানে আমার কামনা নির্বাপিত কর।
এইভাবে পুরঞ্জনের মধুরবাক্যে ‘রাণীর ক্রোধ প্রশমিত হল। আর নানাভাবে তার পতিকে মােহিত করে, তাকে বশীভূত করে সন্তুষ্ট করে তার সঙ্গে মৈথুন-সুখ উপভােগ করল।
এইভাবে রাজা পুরঞ্জন রমণী-সম্ভোগের দ্বারা শ্রীহরির কথা ভুলে গেলেন। গভীর বিষয়াসক্ত হয়ে দিন কাটাতে লাগলেন। তার ফলে ক্রমে ক্রমে তার সুমতি বিনষ্ট হয়ে গেল। তার নবযৌবন ক্ষণাৰ্দ্ধের মধ্যে পার হয়ে গেল।
এইভাবে রাজা পুরঞ্জন তার পত্নী পুরঞ্জনীর গর্ভে এক হাজার একশ পুত্র আর একশ দশটি কন্যার জন্ম দিলেন। তারপর পাথালপতি রাজা পুরঞ্জন তার পিতৃবংশ বর্ধিত করার উদ্দেশ্যে তার পুত্রগণকে উপযুক্ত কন্যার সঙ্গে আর কন্যাগণকে উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিলেন। পুরঞ্জনের এই সব পুত্রগণ প্রত্যেকেই শত পুত্রের পিতা হয়। এইভাবে তাদের দ্বারা সমগ্র পাঞ্চাল রাজ্য পূর্ণ হল।
দেবর্ষি নারদ বললেন-হে মহারাজ প্রাচীনবর্হি আপনার মত রাজা পুরঞ্জনও বহু কামনাযুক্ত হয়ে বিভিন্ন যজ্ঞের দ্বারা দেবতা, পিতৃ ও ভূতপতিগণের পূজা করলেন। সেই সব যজ্ঞ পশুহত্যার বাসনায় অত্যন্ত বীভৎস ছিল। এইভাবে রাজা পুরন সকাম কর্মের প্রতি ও তার আত্মীয়-স্বজনগণের প্রতি আসক্ত হয়ে আর কলুষিত চেতনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জীবনের শেষ অবস্থায় উপনীত হলেন। একসময় গন্ধর্বরাজ চণ্ডবেগ প্রচুর সৈন্য-সামন্তের সঙ্গে পুরঞ্জনের রাজ্য আক্রমণ করলেন। কারন তাদেরকে বাধা দিতে অক্ষম হলেন। এমনকি পঞ্চশির বিশিষ্ট প্রাণ নামক সাপটিও তখন হীনবল।
হে রাজা প্রাচীনহিঁ, ভয়ঙ্কর কালের কন্যা একসময় স্বামীর সন্ধানে ভ্রমণ করবার সময় দেখা পেয়ে আমাকে বিবাহ করবার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তখন আমি তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করি। তাতে সে আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দিল–হে মুনে, আপনি একস্থানে স্থির হয়ে থাকা পারবেন না। তারপর সেই কালকন্যা আমার উপদেশে ভয় নামক যবনরাজার নিকটবর্তী হয়ে তাকে পতিরূপে বরণ করবার ইচ্ছা প্রকাশ করল। কিন্তু যবনরাজ তার গােপনীয় কর্তব্য সাধন করার জন্য তার ভ্রাতা প্রজ্বারের কাছে কালকন্যাকে সমর্পন করলেন আর বললেন—তুমি আমার ভগিনী হও। আমি প্রচুর সেনার সঙ্গে তােমাদের দু’জনের সঙ্গে এই জগতে বিচরণ করব।
দেবর্ষিপাদ বললেন-হে মহারাজ প্রাচীনবর্হি, তারপর ভয় নামক যবনরাজ প্রজ্বার, কালকন্যা আর তার সৈনিকগণের সঙ্গে সারা পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে ইন্দ্রিয় সুখভােগের সামগ্রীতে পরিপূর্ণ এক বৃদ্ধ সর্পদ্বারা রক্ষিত পুরঞ্জনের নগরী আক্রমণ করল। তখন রাজা পুরন তার আত্মীয়-স্বজনদের মমতায় আকুল হয়ে যবনরাজ ও কালকন্যার আক্রমণে বহু ক্লেশ ভােগ করলেন। তিনি তখন দেখলেন যে, তার নগরীর সমৃদ্ধি নষ্ট হয়েছে। আর তার পুত্র, পৌত্র, ভূত ও অমাত্যেরা ধীরে ধীরে তার বিরােধিতা করতে শুরু করছে। এমন কি তার পত্নীও তার প্রতি প্রীতিশূন্য ও উদাসীন। কিন্তু তিনি সেই পরিস্থিতির সংশােধন করতে পারলেন না। কালকন্যার দ্বারা বিধ্বস্ত তার পুরী। তথাপি তা পরিত্যাগ করার ইচ্ছা না থাকলেও রাজা তা ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। তারপর প্রজ্বার সেই নগরীতে অগ্নিদান করলেন। সেই নগরীর রক্ষক সাপটি তখন শােকে একেবারে কাতর হয়ে পড়ল। রাজা পুরঞ্জন তখন তার আত্মীয় স্বজনগণের জন্য সঞ্চিত ধন-সম্পদের কথা চিন্তা করে অতিশয় কাতর হল।
হে মহারাজ প্রাচীনবর্হি, যদিও পত্নী ও সন্তান-সন্ততিগণের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে রাজা পুরঞ্জনের শােক করা উচিত নয়, তথাপি দীন বুদ্ধির জন্য তিনি তা করলেন। তখন যবনরাজ তাকে বন্দী করলেন। সেই নির্দয় রাজা পুরঞ্জন বিভিন্ন যঞ্জে বহু পশুবধ করেছিলেন, এখন সেই সব পশুরা সুযােগ পেয়ে, তাদের শিং-নখাদির দ্বারা তার দেহ বিদীর্ণ করল। রাজা পুরঞ্জন তার পত্নীর কথা চিন্তা করতে করতে দেহত্যাগ করলেন। তাই তাঁর পরবর্তী জীবনে নারীরূপে বিদরাজের গৃহে জন্মগ্রহণ করেন।
শ্রীমদ্ভগবত গীতায় ভগবান নিজ মুখে বলেছেন—মানব মৃত্যুকালে যে যে ভাব স্মরণ করে দেহত্যাগ করে, সেই ভাবই লাভ করে। এখানেও রাজা পুরঞ্জন পরজন্মে নারী রূপে জন্মালেন।
                                                                                       শ্রীমদ্ভাগবত  [স্কন্ধ    পঞ্চবিংশতি অধ্যায়  ২৫]
 
(প্রতিটি জীব হচ্ছে পুরঞ্জন পুরম্  মানেএই শরীরেএবং জন  মানে হচ্ছেজীব অতএব প্রতিটি জীবই হচ্ছে পুরঞ্জন প্রতিটি জীবই তার দেহের রাজা, কারণ জীবকে তার ইচ্ছা অনুসারে, তার দেহটিকা ব্যবহার করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে সে সাধারণত ইন্দ্রিয় সুখভোগের জন্য তার শরীরটি ব্যবহার করে, কারণ যারা দেহাত্ম-বুদ্ধিতে মগ্ন, তারা মনে করে যে , জীবনের চরম উদ্দেশ্য হচ্ছে ইন্দ্রিয় গুলির সেবা করা সেটিই হচ্ছে কর্মকাণ্ডের পন্থা যার আধ্যাতিক জ্ঞান নেই সে জানে না যে, প্রকৃতপক্ষে সে হচ্ছে দেহের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী আত্মা যারা কেবল ইন্দ্রিয়ের পরিচালনায় মোহিত তাদের বলা হয় বিষয়ী সেই সমস্ত বিষয়াসক্ত মানুষেরা, যারা যারা কেবল ইন্দ্রিয় সুখভোগের ব্যাপারেই আগ্রহী তাদের পুরঞ্জন নামে সম্বোধন করা যেতে পারে যেহেতু এই প্রকার বিষয়াসক্ত মানুষেরাতাদের খেয়াল-খুশিমত তাদের ইন্দ্রিয়গুলি ব্যবহার করে, তাই তাদের রাজাও বলা যেতে পারে দায়ত্বহীন রাজারা তাদের রাজপদকে এবং রাজ্যকে তাদের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করে, তাদের ইন্দ্রিয় তৃপ্তি সাধনের জন্য রাজকোষের অর্থ অপব্যায় করে   ) 


সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

 
আরো পড়ুন.....

আমাদের সমস্ত দুঃখের কারণ অজ্ঞনতা। সুতরাং জানতে হলে পড়তে হবে।

 

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

 এখানে ক্লিক করুন


শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আলোকে  মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বজিজ্ঞাসা প্রশ্ন-উত্তরে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

 এখানে ক্লিক করুন

 একাদশী ব্রত পালনের তাৎপর্য ও নিয়মাবলি এবং বছরের সব একাদশির মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

 এখানে ক্লিক করুন

পূজা-পার্বনের তাৎপর্য ও মহিমা সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

এখানে ক্লিক করুন

 

আরতি-উপসনা-প্রার্থনা সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

 এখানে ক্লিক করুন



সনাতন পারমার্থিক জ্ঞান সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

 এখানে ক্লিক করুন

গুরুতত্ত্ব সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......

 এখানে ক্লিক করুন


অডিও ভিডিও ভজন-আরতি-নামকীর্তন শুনুন এবং ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক করে...

 এখানে ক্লিক করুন


 
 
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে নিজে জানুন অন্যকে জানার ‍সুযোগ করে দিতে অবশ্যই সকলকে শেয়ার করুন..........................................



 

আরো পড়ুন.....

১.রামায়ণ কথা  

২. অহল্যা চরিত্র 

৩.ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন?? 

.ভূমন্ডলে তুলসীর আবির্ভাব কীভাবে হলো? 

৫. মীরাবাঈ কে ?

৬. দ্রোপদীকে দেয়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠ কিছু বানী

৭. মহাভারতের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ

 
 
 
 
 
 
15. ভক্তি কি ?


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ